Thursday, October 3, 2024

ক্ষুধার্ত অবস্থায় আমাদের কেন রাগ হয়

 


ক্ষুধার্ত অবস্থায় আমাদের কেন রাগ হয়? কারণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় আমাদের মধ্যে ক্লান্তি, বিভ্রান্তি বা রাগের মতো আবেগগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর এসব কিছুর জন্য দায়ী হলো চিনি-বিশেষত গ্লুকোজ, যা আমাদের রক্তে সঞ্চালিত হয়। যখন এর মাত্রা কমে যায়, তখন আমাদের শরীর তা পুনরুদ্ধারে ধারাবাহিক কিছু প্রতিক্রিয়া দেখায়।

কিন্তু গ্লুকোজ ঠিক কী ভূমিকা পালন করে? এটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

 

এই ধরনের চিনি আমাদের অঙ্গ তৈরি করা কোষের শক্তির প্রধান উৎস। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, এর ওপর মস্তিষ্ক প্রায় একচেটিয়াভাবে নির্ভর করে। এটা ছাড়া মস্তিষ্ক তৈরি করা ১০০ বিলিয়ন স্নায়ু কোষ নিজেদের কাজ ভালোভাবে করতে পারবে না।

দুর্বল খিটখিটে বোধ করা, মাথা ঘোরা এবং মনোযোগে অসুবিধার মতো বিষয়গুলো দিয়ে বোঝা যায় যে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ পাচ্ছে না। আর এই মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে অর্থাৎ খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য চিনি সরবরাহে ঘাটতি হলে মানুষ কোমাতেও চলে যেতে পারে।

 

আবেগ পরিচালনাকারী কর্টিসল

 

কিছু লক্ষণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা ফিরিয়ে আনতে আমাদের যে খেতে হবে, সেই সংকেত প্রদান করে থাকে এবং বিভিন্ন পুষ্টির গন্তব্য অর্থাৎ আমাদের শরীর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোষে পৌঁছানোর মহাসড়ক হয়ে কাজ করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ধারাবাহিকভাবে বেশকিছু মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া ঘটে।

মলিকিউলার পর্যায়ে বিভিন্ন হরমোন নিঃসৃত হয়। এগুলোর একটি ঘ্রেলিন, যা পাকস্থলীর কোষ থেকে উৎপাদিত হয়ে হজমের প্রক্রিয়ায় কাজ করে। এই প্রাকৃতিক যৌগ ক্ষুধার অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীর শক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

 

কিন্তু আমরা কেন খাচ্ছি না সেই পরিস্থিতি না জেনেই ঘ্রেলিন
সমান্তরালেই
পরোক্ষভাবে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত চাপ সৃষ্টিকারী কর্টিসলকে উদ্দীপিত করে।

 

রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে কর্টিসল গ্লুকোনোজেনেসিস নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটি লিভারে সঞ্চিত ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিনের ভাঙ্গন থেকে গ্লুকোজ উৎপাদনের উপর নির্ভর করে এবং দ্রুততার সঙ্গে আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।

 

ক্ষুধার্ত অবস্থায় রক্তে কর্টিসলের উপস্থিতি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে, অনেকটা পুতুলের মতো খেলায়। এটি ইতিবাচক আবেগ এবং চাপের উপলব্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা পরিবর্তন করে। এই সম্মিলিত প্রভাবের ফলেই ক্ষুধার্ত থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিরক্ত বা রাগ লাগে।

 

কেবল মানুষের ক্ষেত্রেই এমন হয় না। জেব্রাফিশের আচরণ নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষুধার্ত বোধ করলে এই প্রাণীগুলোও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

 

বিবর্তনের কারণে পরিবর্তিত আচরণ

 

যেমনটি আমরা দেখেছি, আমাদের মেজাজ অনেক জৈব রাসায়নিক মিথস্ক্রিয়া ফলাফল, আর একটি হরমোন আছে যে এর প্রধান চরিত্র, এনিয়ে আমরা এখনও কথা বলিনি।

 

আপনি সম্ভবত আপনার জীবনের কোনো ক্ষেত্রে এটি নিয়ে শুনেছেন, বিশেষ করে মারাত্মক খেলাধুলার ক্ষেত্রে। আপনি ঠিক অনুমান করেছেন, এর নাম অ্যাড্রেনালিন।

 

কর্টিসলের মতো এটিও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত হয় এবং চাপযুক্ত পরিস্থিতির সাথে যুক্ত। এটি শরীরেরলড়ুন বা পালানভূমিকার জন্য পরিচিত, যা মূলত হুমকির মুখে একটি শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া।

ক্ষুধার্ত অবস্থায় অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল উভয়ই একসাথে আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করে এবং আমাদের আরও রাগান্বিত বা বিরক্ত করে তোলে। এর একটি বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা আছে বলে মনে করা হয়: খাদ্য ঘাটতি থেকে বাঁচার জন্য- এবং এভাবে সেই সব সম্পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্যসেই সময়কার শিকারি বা খাবার সংগ্রহকারীদের জন্য আক্রমণাত্মক হওয়া সুবিধাজনক ছিল।

 

আজকাল যদিও আমরা আর খাবারের জন্য একইভাবে প্রতিযোগিতা করি না, তবে ক্ষুধা লাগলে শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা জানা থাকলে আবেগকে সামলানো সহজ হতে পারে।

 আপনি যদি রাগান্বিত বা বিরক্ত বোধ করতে শুরু করেন তবে মনে রাখবেন- এটি না খেয়ে থাকার কারণে হতে পারে। নিজের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা কেবল শক্তিই জোগাবে না, এটি আপনাকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ মেজাজে রাখতেও সহায়তা করবে।

এই নিবন্ধটি দ্য কনভার্সেসনে প্রকাশিত বায়োমেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ মালাগা (আইবিআইএমে) একজন গবেষক লিলিয়া কাজান্তসেভা লেখা। বিবিসি বাংলা নিবন্ধটি অনুবাদ করেছে।

Tuesday, September 24, 2024

বয়স বাড়লেও ত্বক থাকবে টনটনে


 

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক কুঁচকে যায়। মুখ জুড়ে বলিরেখাদের রাজত্ব বাড়ে। ত্বকের এমন হাল মেনে নিতে পারেন না অনেকেই। আসলে মহিলারা সব সময়ই ঝলমলে, চিরসবুজ ত্বকের স্বপ্ন দেখে থাকেন। আর তা পূরণ করার একমাত্র উপায় হতে পারে স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন। এর জন্য তাদের নিয়মিত সিটিএম রুটিন তো মেনে চলতেই হবে। পাশাপাশি ত্বকের পরিচর্যায় রুটিনে রাখতে হবে কিছু ফেসপ্যাকও। এমন কিছু ঘরোয়া ফেসপ্যাকেরই হদিশ রইল এই নিবন্ধে। সব ফেসপ্যাকের ছোঁয়াতেই ত্বক হবে টানটান। দূর হবে বলিরেখা।

 

অ্যালোভেরার ফেসপ্যাকের জুড়ি মেলা ভার

নানা খনিজ এবং ভিটামিনে ঠাসা অ্যালোভেরা। এছাড়াও এই ভেষজে রয়েছে উৎসেচক। যা ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেট করে। ফলে ত্বকের জেল্লা তো বাড়েই। সঙ্গে সঙ্গে টানটান হয় ত্বক। তাই ছুটির দিনে মুখে অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক লাগিয়ে নিন। তাতেই ত্বক থাকবে চিরসবুজ। এর জন্য প্রথমে অ্যালোভেরা পাতা থেকে এর রস বের করে নিন। মুখে সরাসরি সেই রস লাগিয়ে নিতে পারেন। তারপর আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে প্রতিদিনই এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

মন্দ নয় পেঁপের ফেসপ্যাক

পেঁপেতে রয়েছে কিছু প্রাকৃতিক উৎসেচক। তা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে রিঙ্কেলস দেখা যায় না। ত্বক দেখায় টানটান এবং সতেজ। তাই স্কিনকেয়ার রুটিনে পেঁপের ফেসপ্যাক রাখতে ভুলবেন না একেবারে। এর ফেসপ্যাক বানাতে কয়েকটি পাকা পেঁপের টুকরো নিন। সেগুলো পেস্ট করে পাল্প বানিয়ে নিন। তাতে চা চামচ মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি পেঁপের ফেসপ্যাক। তারপর এই প্যাক ভালো করে মুখ গলায় মেখে নিন। ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু' দিন এই ফেসপ্যাক লাগান। তারপর পার্থক্য দেখুন নিজে চোখেই।

 

কাজে আসবে শসাও

এমনিতে ত্বকে প্রদাহ কমায় শসা। তাই রোদ থেকে এসে মুখে ঠান্ডা শসার টুকরো ঘষে নিলে বেশ আরাম লাগে। এই শসাই কিন্তু ওপেন পোরস দূর করতে বেজায় কার্যকরী। পাশাপাশি এই ফল দিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে অকালে বলিরেখাদের ভিড়ও বাড়বে না।ফেসপ্যাক বানানোর জন্য প্রথমে শসার টুকরো মিক্সিতে ঘুরিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তাতে টেবিল চামচ দই ভালো ভাবে মেশান। এই ফেসপ্যাক মুখে মেখে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তার পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। তাতেই ত্বক দেখাবে একদম ফ্রেশ।

 

কলার ফেসপ্যাক লাগিয়ে নিন

 

ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে কলা। পাশাপাশি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতেও সিদ্ধহস্ত এই ফল। তাই কলা দিয়েই ত্বকের ভোল বদলে ফেলুন। প্রথমে একটি পাকা কলা চটকে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তাতে এক চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখে মাখুন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলেই পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন।

 

বেসনের তুলনা হয় না

 ঝলমলে ত্বক পেতে মায়েরা রান্নার ফাঁকে এক ফোঁটা বেসন মুখে মেখে নিতেই। তাতেই ত্বকের জেল্লা বাড়ত দ্বিগুণ হারে। আপনিও তাহলে ঘরে থাকা বেসন দিয়েই ত্বকের যত্ন নিন। ত্বককে এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে রান্নাঘরের এই উপকরণ। পাশাপাশি ত্বকও টানটান হয় এর ছোঁয়ায়। চা চামচ বেসনের সঙ্গে গোলাপ জল এবং দই মিশিয়ে নিলেই তৈরি এই ফেসপ্যাক। তার পর সারা মুখে মেখে নিন। আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করে অল্প পানি নিয়ে মুখে সার্কুলার মোশনে কিছুক্ষণ মাসাজ করুন। এর পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিলেই কাজ শেষ।

ভ্রমণ তারুণ্য জাগিয়ে তুলতে পারে

 



ভ্রমণ শুধু আনন্দদায়কই নয়। এটি বার্ধক্যের সাথেও লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্যকর ছুটির দিনে ভ্রমণে যাওয়া রোমাঞ্চকর। তবে এই ভ্রমণই যদি নিজেকে জানতে এবং তারুণ্য জাগিয়ে তুলতে পারে, তবে কেমন হবে ব্যাপারটা? হাঁ, অস্ট্রেলিয়ার এডিথ কোওয়ান ইউনিভার্সিটির একটি নতুন গবেষণা এমনটিই জানিয়েছে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে ভ্রমণের মাধ্যমে বয়সের এগিয়ে যাওয়া অনেকটা অফসেট করা যেতে পারে।

সমীক্ষা অনুসারে, ভ্রমণের অনেক অংশ- যেমন নতুন লোকের সাথে দেখা করা, ভাল ঘুমানো, নতুন জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জন করা, যোগব্যায়াম এবং স্পা চিকিৎসার মতো আরামদায়ক ক্রিয়াকলাপগুলোতে অংশ নেয়া- অকাল বার্ধক্যকে অস্বীকার করতে সহায়তা করতে পারে। প্রকৃতির কাছে ছুটে যাওয়া ক্ষণিকের অবসর আপনাকে কঠোর ব্যস্ততা থেকে সত্যিই এক ভিন্ন অনুভূতি এনে দেয়।

গবেষণার প্রধান লেখক ফাংলি হু বলেন, ‘পর্যটন শুধু অবসর এবং বিনোদন নয়। এটি মানুষের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যেও অবদান রাখতে পারে।এখন কেবল আপনার বসকে বোঝাতে হবে যে আপনার আরো ছুটির দিন দরকার।

 

ভ্রমণের অনুভূতি

জোআন বেকার বলেছেন, অনেক লোক তাদের সফরে কোনো অন্ধ ব্যক্তিকে চায় না। অথচ বোস্টনভিত্তিক অন্ধ মহিলা ৫৬টি দেশে গেছেন এবং গণনা করেছেন। তিনি মনে করেন না যে দেখতে না পেয়ে কিছু হারিয়েছেন তিনি। ক্রিস উইলসন ২০০৮ সালে একটি জীবন-পরিবর্তনকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তখন তিনি ক্রেগলিস্টে একটি ক্রুজ জাহাজ কিনেছিলেন এবং ২৯৩-ফুট জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার জন্য এক বছরব্যাপী প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন। উইলসন বলেছেন, তিনি আবেগময় প্রকল্পে তার জীবন সঞ্চয় ঢেলে দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছে জাহাজটি বাঁচানোর জন্য এটি যথেষ্ট ছিল না। কিভাবে তার স্বপ্ন ডুবেছিল এবং কেন তিনিকখনো কোনো অনুশোচনা করেননি তা খুঁজে বের করুন।

ভ্রমণের ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের নতুন করে বাঁচতে শেখায়। নতুন করে ভাবতে শেখায়। এতে দেহ, মনে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়। যা বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করতে পারে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সেপ্টেম্বরের মাসে সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ৮৬০ জন



 

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সেপ্টেম্বরের ২৪ দিনে সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ৮৬০ জন, যা আগের আট মাসের চেয়েও বেশি। গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৮৫০ জন। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮০১ জন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন শনাক্তদের নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৭০১ জনে। তাদের মধ্যে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন মারা যাওয়া তিনজনের একজন ঢাকা উত্তর বাকি দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা।

 আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২৬৮ জন রয়েছেন। ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ২০৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৬, বরিশাল বিভাগে ৫৫, খুলনা বিভাগে ৬১, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৭, রাজশাহী বিভাগে ৩৭, রংপুর বিভাগে ১৭ এবং সিলেট বিভাগে দুজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
 চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৮০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ২০ শতাংশ নারী। ছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ১৩৬ জনের মধ্যে ৫২ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী এবং ৪৭ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ। এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াবাজারের নবাব সিরাজউদ্দৌলা পার্ক আহমেদ বাওয়ানি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এফ হাসান আরিফ।

সময় তিনি বলেন, দেশে এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও তাতে সন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে, এটাই চিন্তার বিষয়। সংক্রমণ রোধে দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। একটি হলো চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, লার্ভিসাইডিংয়ের ওষুধ দেওয়া ফগিং করা। আরেকটি হলো জনগণকে সচেতন করা। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গুবিষয়ক সমস্যা সম্পর্কে সবাই জানেন। প্রতি বছরই এটা নিয়ে মহড়া হয়। তবে শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে। যখনই ডেঙ্গু বাড়তে থাকে, তখন আমরা হইচই করি। নানারকম কার্যকলাপ দেখাই। যদি গোড়া থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়, শুরু থেকে আমরা প্রত্যেকে সচেতন হই, তাহলে ডেঙ্গু সংক্রমণ কমবে।